বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে এক বৈঠকে ঢাকায় সফররত অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং আশ্বাস দিয়েছেন যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণের পরেও বাংলাদেশি পণ্যের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি সুবিধা অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার (২১শে মে) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ সফররত অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন। উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক শেষে যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ-এর হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী এবং ঢাকায় অস্ট্রেলিয়া-এর ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদিয়া সিম্পসন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন ও ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বাংলাদেশ সফরে আসা অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী গো হুইটল্যামকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং রোহিঙ্গাদের জন্য অস্ট্রেলিয়া সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করায় পেনিকে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ জানান, আন্তরিকতাপূর্ণ বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি, বাংলাদেশের ১০০টি বিশেষ ইকনোমিক জোন এবং ৪০টি আইটি ভিলেজে অস্ট্রেলীয় বিনিয়োগ, বাংলাদেশিদের মৌসুমি কর্মসংস্থান, সেখানে প্রবাসীদের কল্যাণ, অবৈধ অভিবাসন রোধ, জ্বালানি ও পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার টেকনিকাল এন্ড ফারদার এডুকেশন (টিএএফই) সহায়তার আওতায় বাংলাদেশের টেকনিকাল ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে (টিটিসি) উন্নত প্রশিক্ষণ সহযোগিতা কামনা করেছি, বলেন মন্ত্রী হাছান।
ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ইউটিসির সঙ্গে আমাদের চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রেডিট ট্রান্সফার সুবিধা রয়েছে যেমনটি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
গত চার বছরে দুদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে চার বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলারে দাঁড়িয়েছে যা আমরা আগামী পাঁচ বছরে দ্বিগুণ হবে বলে আশা করি।
এ সময় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেন, সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশ সংরক্ষণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে ব্যাপক উন্নতি করেছে, তা আরও এগিয়ে নিতে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকতে চায়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেরিটাইম সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য তার দেশের কোস্ট গার্ড প্রধান বাংলাদেশ সফর করবেন। ভারত মহাসাগরীয় দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত উল্লেখ করেন তিনি।
এনএম
মন্তব্য করুন: