দীর্ঘ ছয় মাস কারাভোগ শেষে গত দুই দিন আগে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিয়াল। কিন্তু এবার তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, মানুষের রায়ে নির্বাচিত হন যদি, তবেই ফিরবেন।
নিজের সততার প্রমাণ না দিলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসবেন না বলে ঘোষণা করলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বলেন, দু’দিন পরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করব।
তিনি জানান, দিল্লির জনতা তাঁকে পুনরায় জয়ী করে না ফেরানো পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসবেন না।
জেলমুক্তির পর কেজরিওয়ালের এই বড়সড় সিদ্ধান্ত নাটকীয় মোড় নিয়েছে দিল্লি রাজনীতিতে। কেজরিওয়াল এদিন আমজনতার কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে প্রশ্ন করেছেন, আপনারাই নির্বাচন করবেন কেজরিওয়াল দোষী নাকি নির্দোষ। যদি আমি নির্দোষ হয়ে থাকি তাহলে আমাকেই ফের নির্বাচিত করুন।
জানা গিয়েছে, আগামী দুদিনের মধ্যেই আপ বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক হবে। সেখানেই ঠিক হয়ে যাবে আগামী কয়েক মাসের জন্য কে হচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
সামনের বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন রয়েছে দিল্লিতে। এদিনের সভা থেকে কেজরিওয়াল দাবি করেছেন, ফেব্রুয়ারি থেকে এগিয়ে এনে চলতি বছরের নভেম্বরে নির্বাচন করা হোক। উল্লেখ্য, নভেম্বরে মহারাষ্ট্রেও নির্বাচন রয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চ মাসে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল ইডি এবং সিবিআই।
উল্লেখ্য, দু'দিন আগেই দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় অবশেষে মুক্তি পান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এর আগে ইডির করা মামলায় কেজরিওয়াল জামিন পেতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে আজ শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে কেজরিওয়ালকে। তবে বেশ কয়েকটি শর্তে কেজরিকে। তিনি কোনও ফাইলে সই করতে পারবেন না বলে কেজরিওয়ালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিকে নিজের দফতরেও যেতে পারবেন না। এছাড়া, আগবারি মামলা সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
এমএএন
মন্তব্য করুন: