editor.timesmail24@gmail.com রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তপথে আমদানি-রফতানি চালু হলেও বন্ধ রয়েছে ঢাকা-কলকাতা ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০১:২৭
আপডেট: ০১ আগষ্ট ২০২৪ ০২:০৮

বাংলাদেশ চলমান কোটা সংস্কারের আন্দোলনের জেরে গত ১৯ জুলাই মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং কলকাতা-খুলনার মধ্যে যাতায়াতকারী বন্ধন এক্সপ্রেস বাতিল করে বাংলাদেশ সরকার কতৃপক্ষ। বাংলাদেশের পরিস্থিতি আগের থেকে কিছুটা ভাল হলেও চালু করা হল না মৈত্রী এক্সপ্রেস।

বাংলাদেশ চলমান কোটা সংস্কারের আন্দোলনের কারনে চার দিন বন্ধ থাকার পর গত (২৪ জুলাই) বুধবার পেট্রাপোল দিয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রফতানির কার্য ক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু দু’দেশের মধ্যে যাতায়াতকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস একনো চালু হযনি। আজ বৃহস্পতিবার ভারতীয় রেল কতৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২৭ জুলাই, শনিবার কলকাতা থেকে ঢাকাগামী এবং ঢাকা থেকে কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস বাতিলই থাকবে। বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রদেয় বার্তার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে ভারতীয় রেল কতৃপক্ষ।

ভারতীয় রেল কতৃপক্ষের দেয়া তথ্যমতে, শনিবার কলকাতা থেকে রওনা হওয়ার কথা ছিল ১৩১০৮ কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেসের। একই দিনে ঢাকা থেকে রওনা হওয়ার কথা ছিল ১৩১১০ ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসের। ওই ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যার কারনে যারা উল্লেখিত তারিখের টিকিট কেটেছেন তারা কলকাতার বিশেষ টিকিট কাউন্টারে টিকিটের দাম ফেরত পাবেন। এতে কোন যাত্রী টিকিট হারিয়ে ফেললে টাকা ফেরত পাবেন না বলে জানিয়েছেন। বিদেশি যাত্রীদের প্যাসেঞ্জার রিজ়ার্ভেশন সিস্টেম (পিআরএস)-এর কাজের সময় টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে গত শনিবার পেট্রাপোল বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। ধীর গতিতে হচ্ছিল পণ্য আমদানি। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। সে কারণে সে দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে রফতানি বন্ধ রাখা হয়েছে। রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ভারতীয় সীমান্তে জট পড়ে পণ্যবাহী গাড়ি, ট্রাক। দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকেরা। অবশেষে চার দিন পর, বুধবার সেই পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে আমদানি-রফতানি। বন্দর সূত্রে খবর, পেট্রাপোল বন্দরে ৮০০-র উপরে পণ্যবাহী গাড়ি, ট্রাক দাঁড়িয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেই গাড়িগুলি বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। শুরু হয়েছে আমদানিও। তবে বাংলাদেশের বেনাপোলে ইন্টারনেটে সমস্যা থাকার কারণে ধীর গতিতে চলছে ব্যবসা। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।

চলমান আন্দেলন শিথিল হলেও বাংলাদেশে এখনও জারি রয়েছে কার্ফু। বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী কার্ফুর ষষ্ঠ দিন। মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন দিনের সাধারণ ছুটির পর, তা আর নতুন করে বাড়ানো হয়নি। বুধবার থেকেই ঢাকা-সহ চার জেলায় সাত ঘণ্টার জন্য কার্ফু শিথিল করা হয়েছে। সাত ঘণ্টার জন্য খুলেছে অফিস-আদালত। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিও সীমিত পরিসরে খোলা রাখার অনুমতি পেয়েছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এখনই খুলছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

 
(সবার আগে আলো-আধারের সময়ের খবর সময়ে পেতে ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Threads, Instagram এবং Telegram পেজ)

এমএএন

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর