মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনী ও একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত জোরালো হয়েছে। ফলে রোহিঙ্গা গণহত্যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি মানবাধিকার গ্রুপ বিশ্বকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
রাখাইনের মংডুতে অবস্থিত জাতিসংঘের খাদ্য গুদামে আগুন ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। এরই মধ্যে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থাটি। এরপরই রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে উদ্বেগ জানালো বার্মিজ রোহিঙ্গা অরগানাইজেশন ইউকে (বিআরওইউকে)।
সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশটির রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত তীব্র হয়েছে।
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে মনে করে না সামরিক বাহিনী ও অধিকাংশ বৌদ্ধ বাসিন্দারা। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর প্রাণঘাতী হামলা শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চালানো গণহত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
বিআরওইউকে তাদের নতুন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন রাখাইনে অবশিষ্ট থাকা ৬ লাখ রোহিঙ্গা।
বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সেনাবাহিনী। খাদ্য, পানি, ওষুধ ও এমনকি নিরাপদ আশ্রয় থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। তাছাড়া রোহিঙ্গাদের বাধ্যতামূলকভাবে নিযুক্ত করে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছে।
বিআরওইউকে তাদের প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে, মূলত সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মি উভয়ই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: