অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ইউরোপের দেশ স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড। যদিও স্পেন এবং নরওয়ের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গত সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা গাজা যুদ্ধের মাঝে স্পেন ও নরওয়ের এমন সিদ্ধান্ত হামাসের জন্য পুরস্কার।
স্পেন ও নরওয়ে ছাড়াও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আয়ারল্যান্ড। ইউরোপের এই তিন দেশ মনে করে, তাদের এমন সিদ্ধান্তের শক্তিশালী প্রতীকী প্রভাব রয়েছে; যা অন্যান্যদের অনুসরণে উৎসাহ জোগাবে। মঙ্গলবার ফিলিস্তিনকে নরওয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইড। এই পদক্ষেপকে ‘‘নরওয়ে-ফিলিস্তিন সম্পর্কের জন্য বিশেষ দিন’’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
এসপেন বলেছেন, ‘‘৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সবচেয়ে উৎসাহী রক্ষকদের অন্যতম নরওয়ে।’’ নরওয়ের ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই স্পেনও ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। স্পেনের সরকারের মুখপাত্র পিলার অ্যালেগ্রিয়া নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। একই সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্যরা এটাকে ‘‘এক ঐতিহাসিক দিন’’ বলে অভিহিত করেছেন।
এর আগে, স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যানচেজ বলেন, এই ধরনের স্বীকৃতি শান্তির জন্য অপরিহার্য। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তার দেশের এই পদক্ষেপ ‘‘কারও বিরুদ্ধে নয়, বরং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে।’’ ইসরায়েলের পাশে শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে বসবাস করার একমাত্র উপায় এই ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র।
এসআর
মন্তব্য করুন: