এ কয়েকদিনের অস্থিরতা যেন পোশাক রপ্তানির খোলা আকাশে ছড়িয়েছে কালো মেঘ। এতে দেখা যায় গত ১৯ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত ৪দিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকার রপ্তানি হারিয়েছে দেশের শীর্ষ রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক। এসময় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় কাঁচামাল সংকটে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ, ওয়াশিং আর ডায়িং খাতে উৎপাদন ব্যাহত হয়ে ক্ষতি হয়েছে আরো প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার।
পোশাক রপ্তানিকারকদের দাবী গত অর্থবছরের ১১ মাসও আশানুরূপ হয়নি পোশাক রপ্তানি। এ সময়ে রপ্তানি বেড়েছে মাত্র ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। যা এর আগের অর্থবছরে একই সময়ের তুলনায় কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। এমন নেতিবাচক ধারার মধ্যে দেশের অধিকাংশ কারখানায় চলছে এখন শীতকালীন পণ্যের উৎপাদন। এছাড়া বড়দিন উপলক্ষ্যে ক্রয়াদেশের উপযুক্ত সময় পার করছে তৈরি পোশাকখাত। এসময়ে ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে আস্থাহীনতা দেখা দিয়েছে।
বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, ‘ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে, যার ফলে বায়াররা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে নাই। আগামীদিনের যে অর্ডারগুলো এসময়ে প্লেস হওয়ার কথা ছিল তা অন্যদেশে চলে গিয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া আমাদের জন্য চ্যালেন্জ হয়ে দাঁড়াবে।’
এ সংকট থেকে উত্তরণে সরকারের নীতিসহায়তা, উৎসে কর কমানোসহ কাস্টমস, ব্যাংকিং নীতিমালায় শিথিলতা এবং আর্থিক সহযোগিতার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।
বিজিএমইএ’র সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, ‘এই আঘাত পুষিয়ে নেয়া কষ্টকর হবে। কারণ যোগাযোগের অভাবে ক্রেতাদের কাছে আমাদের ইমেজ হারিয়েছি।’
মন্তব্য করুন: