প্রকাশিত:
২১ আগষ্ট ২০২৪, ১৮:৪৮
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে সিনেমা ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’
ইতোমধ্যে পরিচালক সমিতিতে সিনেমাটির নাম নিবন্ধন করেছেন পরিচালক এম কে জামান। পরিচালক সিনেমাটির নাম ঠিক করেছেন “মাদার অব ডেমোক্রেসি”।
নির্মাতা জানিয়েছেন, সিনেমাটির পাণ্ডুলিপির কাজও শেষ। এখন চলছে প্রি-প্রোডাকশনের কাজ। সবকিছু ঠিক থাকলে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে আকন্দ এন্টারটেইনমেন্ট পিএলসি।
বিষয়টি নিয়ে যখন চলছে আলোচনা, ঠিক তখনই জানা গেল ১১ বছর আগেই বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বায়োপিক সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন প্রয়াত কিংবদন্তি গীতিকার-প্রযোজক ও পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। এবার ১১ বছর পর সিনেমাটি আলোর মুখ দেখতে চলেছে।
২০১৩ সালে নির্মিত “আপসহীন” শিরোনামের সিনেমাটিতে খালেদা জিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিপুণ আক্তার। আর এতে জিয়াউর রহমান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা হেলাল খান।
সিনেমাটির মুক্তি পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন হেলাল খান। সিনেমাটি মুক্তির আগে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে একবার দেখা করতে চান বলেও জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ম্যাডাম অসুস্থ। এই মুহূর্তে এটা নিয়ে কথা বলাটা ঠিক হবে না। তিনি সুস্থ হলেই ছবিটি নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করব। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে।”
এদিকে, সিনেমাটিতে যুক্ত হওয়ার নেপথ্যের ঘটনা জানিয়ে আলোচিত অভিনেত্রী নিপুণ তিনি বলেন, “একদিন গাজী মাজহারুল আনোয়ার আঙ্কেল আমার বাসায় আসেন। ছবিটির কথা জানালেন। তখন শাহ আলম কিরণ ভাইয়ের ‘৭১-এর মা জননী’ ছবির শুটিং চলছে। আমাকে আঙ্কেল বললেন, চলচ্চিত্রটি ম্যাডাম খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে। আমাকে তার চরিত্রেই রূপদান করতে হবে। জানতে চাইলেন, আমার আপত্তি আছে কিনা? জানালাম, অভিনেত্রী হিসেবে ম্যাডামের চরিত্রে অবশ্যই অভিনয় করা উচিত। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে রাজপথে সরব। আমি রাজি হওয়ায় আঙ্কেল খুব খুশি হলেন।”
সেই সময় অনেকটা গোপনে সিনেমাটির শুটিং করা হয় বলেও জানান চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এই সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
তিনি আরও বলেন, “আমার আগে জয়া আহসান ও নুসরাত ইমরোজ তিশার কথা উঠেছিল। তবে গাজী আঙ্কেলই হেলাল ভাইকে বলেছিলেন, নিপুণ হলে ম্যাডামের চেহারার সঙ্গে দারুণ মিলবে।’’
সিনেমাটি নিয়ে প্রয়াত পরিচালক মাজহারুল আনোয়ারের অনেক স্বপ্ন ছিল বলে জানান তার ছেলে সরফরাজ আনোয়ার উপল।
তিনি বলেন, “আমরা পারিবারিকভাবেও উদ্যোগ নিয়েছি বাবার সব সৃষ্টি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। বাবার নির্মিত শেষ চলচ্চিত্র এটি। দর্শক দেখলে বাবার আত্মা শান্তি পাবে।”
তিনি আরও বলেন, “এটা শুধু যে একটা চলচ্চিত্র তা কিন্তু নয়, একই সঙ্গে সফল রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার বায়োপিক। দেখলে দর্শক জানতে পারবে দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসা, ত্যাগ ও মহিমার কথা।”
এমএএন
মন্তব্য করুন: