editor.timesmail24@gmail.com রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আরাফাত পর্বতে হজ্বের খুতবায় ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২৪, ০২:৩২

মক্কার আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দিয়েছেন মসজিদে হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি। বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টা ১৪ মিনিটে শুরু হয় হজের খুতবা।

হজের খুতবায় কাবার ইমাম বলেন, হে মানুষ! আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.)-এর আনুগত্য করো, কোরআন মাজিদে বলা হয়েছে, যে অন্যায় করবে আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেন।

তিনি বলেন, ইবাদত শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য এবং বিধান শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। আর যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে সে এমন জায়গা থেকে রিজিক পাবে যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না।

তিনি বলেন, আল্লাহতায়ালা সবকিছুর মালিক। তিনি আমাদের জন্য রহমত হিসেবে কোরআন অবতীর্ণ করেছেন। কোরআন এমন একটি গ্রন্থ যার প্রতিটি আয়াত প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ। এই কোরআন মানুষকে সরল পথ দেখায়।

খুতবায় তিনি বলেন, তাকওয়া মানুষকে সফলতা ও মুক্তি দেয়, তাকওয়া অবলম্বনকারীরা কেয়ামতের দিন দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত থাকবে। সে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দেবেন যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না। যে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তার গোনাহ মাফ করে তাকে প্রতিদান দেবেন।

তিনি বলেন, আল্লাহতায়ালা হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। যারা নবী কারিম (সা.)-কে সম্মান করবে, ঈমান আনবে এবং আল্লাহ হেদায়েতস্বরূপ যে কোরআন নাজিল করেছেন তার বিধান মেনে চলবে তারাই সফল।

হজের খুতবায় তিনি ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য রহমত কামনা করে দোয়া করেন এবং উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশে বলেন, তাদের বিশেষ দোয়ায় ফিলিস্তিনি মজলুমদের সবিশেষ স্মরণ করতে।

খুতবায় ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে তুলে ধরে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের মুসলমানেরা যুদ্ধের কবলে। তারা বিপর্যস্ত। তাদের খাওয়ার পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, পৃথিবীর সবধরনের আরাম ও সুখ থেকে তারা বঞ্চিত। তাদের জন্য দোয়া করুন। বিশ্ব মুসলিমের কাছে এটা তাদের পাওনা।

তিনি বলেন, যারা ফিলিস্তিনিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন, সহযোগিতার চেষ্টা, অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সহযোগিতা করছেন, করছেন তারাও দোয়ার হকদার। এছাড়াও যারা হজযাত্রীদের সেবা করছেন তারাও দোয়ার হকদার।

খুতবার সময় মসজিদে নামিরায় সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ আলে শায়খ ও পবিত্র কাবার প্রধান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান সুদাইসসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

হজের মূল খুতবার সঙ্গে বাংলাসহ বিশ্বের ৫০টি ভাষায় এর অনুবাদ সরাসরি প্রচারিত হয়েছে।

এনএম

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর