editor.timesmail24@gmail.com শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জাতিকে আর বিভাজনের সুযোগ দিব না: জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২৪, ২২:০০

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিশ্বকে জানান দিতে হবে দেশ ও জাতির স্বার্থে আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। আমরা আর কাউকে জাতিকে বিভক্ত করার সুযোগ দেব না। দল, ধর্ম ও গোষ্ঠীর ভিত্তিতে আমরা কাউকে আর জাতিকে ভাগ করতে দেব না। জাতিকে তারাই ভাগ করে, যারা জাতির দুশমন।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টায় গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে শহরের রাজবাড়ী মাঠে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারী পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াতের আমির বলেন, 'দল, ধর্ম ও গোষ্ঠীর ভিত্তিতে আমরা কাউকে আর জাতিকে ভাগ করতে দিবো না। জাতিকে তারাই ভাগ করে যারা জাতির দুশমন। বিশ্বকে জানান দিতে হবে দেশ এবং জাতির স্বার্থে আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই, কাউকে বিভক্ত করার সুযোগ দেয়া হবে না।'

তিনি বলেন, কোনো সন্ত্রাসী সরকার আর দেখতে চাই না। প্রিয় বাংলাদেশটাকে এক করতে হবে। ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাতকে এক জায়গায় করতে হবে। যত বিভাজন রেখা তৈরি করা হয়েছিল সবগুলোকে আমরা পায়ের নিচে ফেলে দিয়েছি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের দল মানবতার দল, আমরা শহীদদেরকে ভাগ করতে চাই না। প্রতিটা শহীদ পরিবার থেকে কমপক্ষে একজনকে যেন সরকার সম্মানজনক চাকরির ব্যবস্থা করে। লড়াই করে যারা আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে তাদেরকেও যেন সম্মানজনক চাকরি দেয়া হয়। তারা যেন আজীবন কারও করুণার পাত্র হয়ে না থাকে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাবো তাদের সঠিক স্বীকৃতিটা যেন দেয়া হয়। পাঠ্যপুস্তকে আগামী দিনের নাগরিকরা যেন জানে তাদেরও আবু সাঈদরা ছিল। বাংলার শহীদরা ছিল।

তিনি আরও বলেন, সাড়ে ১৫ বছর ইতিহাসের বর্বরতম নির্যাতন চালানো হয়েছে জামায়াতে ইসলামির ওপর। ১১জন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। জুলুম করে বিচারিক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এই সবকিছুর মাস্টারমাইন্ড, হত্যা বাস্তবায়নকারী, যারা মিথ্যা সাক্ষী ও রায় দিয়েছে তাদের কেউ যেন রেহাই না পায়।

সম্প্রতি শিল্প এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষের প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামির আমির বলেন, মতলববাজরা মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে সংঘর্ষ তৈরি করে রাখে। যারা এই সমাজের দুশমন তারাই এই শিল্পকে ধ্বংস করতে চায়।

শাপলা চত্বরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে আলেম ওলামাদের রাতের অন্ধকারে আলো নিভিয়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের লাশটাও পাওয়া যায়নি। আমরা এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

আগামীতে দেশ গঠনে আপামর জনতার সহযোগিতা চেয়ে জামায়াতের আমির নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে প্রত্যেক শহীদ এবং আহত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে জামায়াতের আমির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহত পরিবারের খোঁজখবর নেন। এসময় শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে দুই লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। এর আগে সকাল থেকে জামায়াতের আমিরের আগমন ঘিরে জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মিছিল নিয়ে রাজবাড়ি মাঠে উপস্থিত হন।

এমএএন

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর