দীর্ঘ সময় পর বিএনপির বাধাহীন সমাবেশে রাজধানীর নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের ভিড়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এরই মধ্যে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছেন। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপির আয়োজিত সমাবেশে আশপাশের জেলা ও নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে এ সমাবেশ শুরু হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দুপুর ১২টার আগে থেকেই ঢাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজার হজার নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেন। তারা হাতে দলীয় ও জাতীয় পতাকা, ব্যানার এবং ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন। মাথায় হলুদ এবং লাল রঙের ক্যাপ পরেও নেতা-কর্মীরা সমাবেশে আসেন।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠছে। এখনও মিছিল নিয়ে আসছেন তারা। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে নয়াপল্টন। সমাবেশ কেন্দ্র করে কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
সরজমিন দেখা গেছে, তীব্র রৌদ উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন নেতা-কর্মীরা। নেতা-কর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে উল্লাস করেন অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। নয়াপল্টনে আশেপাশের এলাকা ও অলিগলিতে অবস্থান করছেন ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশ ঘিরে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে। পল্টন ছাড়াও বিজয়নগর, নাইটিঙ্গেল মোড়, ফকিরাপুল মোড় ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সতর্ক অবস্থায় আছে এলিট ফোর্স র্যাবের সদস্যরাও সমাবেশস্থলে আগতদের সিসি ক্যামেরায়ও মনিটরিং করা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যদি কেউ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে তবে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএএন
মন্তব্য করুন: