পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আম্বরবুনিয়া এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে যেখানে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে সেখানে পানি দেওয়া হচ্ছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
সুন্দরবনে ৫ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। শনিবার (৪ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়িসংলগ্ন গহিন বনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। গহীন অরণ্যে লাগা আগুন নেভাতে প্রচেষ্টা শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ। ২২ ঘন্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় আজ অগ্নি নির্বাপনে যোগ দেয় বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা।
শুরুতে নৌবাহিনীর মোংলা ঘাটির কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আরাফাতুল আরেফিনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি ফায়ার ফাইটিং টিম আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়ে।
এ ছাড়া সকালে একটি হেলিকপ্টার নিয়ে বাংলাদেশ বিমারবাহিনীর সদস্যদের বনে আগুন জ্বলতে থাকা এলাকার ওপর দিয়ে টহল দিতে দেখা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাটের উপ-পরিচালক মামসুন আহম্মেদ জানান, জেলার ফায়ার সাভিসের ৫টি ইউনিট সুন্দরবনে আগুন জ্বলতে থাকা এলাকায় নেওয়া হয়েছে। তবে ৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে। ২টি ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। তবে ভোলা নদী অনেক দূরে হওয়ায় পানি সংকটে আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে।
তিনি জানান, কতটুকু এলাকা আগুন ছড়িয়ে পড়েছে তা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। বনের মধ্যে শুকনো গাছ আর পাতা পড়ে থাকার কারণে আস্তে আস্তে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল কবির জানান, শনিবার (৪ মে) নানা প্রতিকূল অবস্থার কারণে আগুন নেভানোর কাজ পুরোপুরি শুরু করা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বন বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ফায়ার ফাইটার ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগ দিয়েছে। তবে কতটুকু এলাকাজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে এ বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।
এদিকে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি অনুসন্ধানে বন বিভাগের পক্ষ থেকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জেরে রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেবকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, জিউধরা স্টেশন অফিসার ওবাদুর রহমান ও ধান সাগর স্টেশন অফিসার রবিউল ইসলাম।
এসআর
মন্তব্য করুন: