editor.timesmail24@gmail.com শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় নাহিদ ইসলাম

নাঈম মজুমদার

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২৪, ২১:২৫

সংগৃহীত ছবি

নাহিদ ইসলাম। মাত্র ২৬ বছরেরও কম বয়সী বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের মধ্যে একজন তিনি। সমাজবিজ্ঞানের এই স্নাতক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখ, যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু করেছিল। এরপর গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর তিনি আরও ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। অবশেষে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতন হয়েছিল বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এ

টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৪ সালের ‘টাইম-১০০' নাহিদ ইসলামের নাম এবছর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রতিবছর বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির এই তালিকা প্রকাশ করে বিখ্যাত সাময়িকীটি। ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে।

টাইম ম্যাগাজিন নাহিদের সম্পর্কে লিখেছে, আন্দোলনের অনেক নেতার মধ্যে নাহিদ অন্যতম, বাংলাদেশের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরে জনমানুষের কাছে তার পরিচিতি আরও বাড়তে থাকে।

সেই নাহিদই ৩ আগস্ট জাতীয় শহীদ মিনারে লাখো জনতার সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হয়ে এক দফা দাবি ঘোষণা করেন। কী ছিল ঐতিহাসিক একদফা, আজ কারো অজানা নয়।

ওইদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নাহিদ ইসলাম মাইকে সমবেত মানুষের উদ্দেশে বলেন, 'মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এক দফা দাবির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। এক দফাটি হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এই সরকারের পতন ও ফ্যাসিবাদের বিলোপ।'

টাইমকে নাহিদ বলেছেন, কেউ ভাবতেও পারেনি তাকে (হাসিনাকে) উৎখাত করা সম্ভব হবে। কিন্তু তাই করে দেখায় মুক্তিকামী জনতা, দেশব্যাপী তীব্র বিক্ষোভের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান হাসিনা।

টাইম বলেছে, ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যেভাবে ভেঙে পড়েছে, এখন তাকে মেরামতের চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে নতুন সরকারকে।

এ বিষয়ে নাহিদের ভাষ্য, আমাদের নতুন প্রজন্মের পালস বুঝতে হবে। বাংলাদশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহিংসতার যে পালাক্রম– অবশ্যই তার অবসান হতে হবে। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রসঙ্গত, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারে ‘জেন জি’র দুই উপদেষ্টার একজন নাহিদ। অন্যজন হচ্ছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

এমএএন

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর