সরকারি চাকরিতে বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা রয়েছে। তবে কতটুকু বৃদ্ধি করা উচিত তা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩৫ বছর করার বিষয়ে গঠিত পর্যালোচনা কমিটির প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।
আজ বুধবার (২ অক্টোবর) চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানান তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে অনেকদিন ধরে একটি আন্দোলন চলছে। এটার ভিত্তিতে সরকার আমাদের পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছে। আমাদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্য প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
মুয়ীদ চৌধুরী আরও বলেন, বয়স বৃদ্ধির দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন তাদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। সরকারের বর্তমান নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে সবকিছু চিন্তা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। তবে বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
সরকারি চাকরিতে আবেদনে বয়স বৃদ্ধির দাবিতে উল্লেখযোগ্য কি যৌক্তিকতা আছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোভিড, সেশনজটে অনেকের সমস্যা হয়েছে। এখনকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো উচিত।
উল্লেখ্য, অনেকদিন ধরেই সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের বৈঠক হয় এবং এ বৈঠকে ড. ইউনূস বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।
পরে ওইদিনই চাকরিপ্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবির বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের উদ্দেশে একটি কমিটি গঠন করা হয়। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এমএএন
মন্তব্য করুন: