নির্বাচন কমিশন না থাকায় এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ করবে না নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব শফিউল আজিম
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত অনলাইন বৈঠকের আগে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেছেন, ২০০৯ সালের ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী জানুয়ারিতে বাড়ি বাড়ি তালিকা হালনাগাদ শুরু হবে। সে সময়টা এখনো আসেনি। আমাদের রুটিনে আছে ২ জানুয়ারি থেকে এটি শুরু করার। এখন প্রতিদিনের হালানাগাদ করছি।
কমিশনের অনুমোদন ছাড়া সেটা ঘোষণা করবেন কি না, হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, এটা কমিশনের কাজ। সুতরাং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগা করার সিদ্ধান্ত কমিশন নেবে। এখন তো আইনে আমার লিগ্যাল অথরিটি নেই। এতদিন যেটা হয়ে গেছে, সেটা তো আসেনি।
প্রয়োজনী সংস্কারের পর রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছে ভোটার তালিকা তৈরি হয়ে গেলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে, সম্প্রতি নিউইয়র্ক সফরকালে এমনটি জানান অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিয়ে অন্তর্বতী সরকার নিয়োগ দেন। সংসদ ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যে সময় শেষ হবে আগামী ৪ নভেম্বর।
এদিকে, অন্তর্বতী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই পদত্যাগ করেছেন কাজী হাবিউল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ‘আলোচনার জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না’ উল্লেখ করে পত্রিকায় লেখা এক কলামে সাংবিধানিক সংকট উত্তরণে বেসামরিক ফরমান জারির আহ্বান জানান।
তিনি সেখানে বলেন, সংবিধানে উল্লেখিত মেয়াদের মধ্যে ভোটের আয়োজন না করলে নির্বাচন কমিশনের মৃত্যুদণ্ড হওয়ার বিধান রয়েছে। এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর তিনিসহ পুরো কমিশন পদত্যাগ করেন।
বর্তমানে কমিশনহীন ইসিতে আইনে নির্ধারিত রুটিন কাজগুলোই করছেন ইসি সচিব শফিউল আজিম।
আইন অনযায়ী, কমিশনের অনুমোদনক্রমে প্রতিবছর দুই জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাযর্ক্রম পরিচালনার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহের পর যাচাই-বাছাই, দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ২ মার্চ প্রকাশের বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে জানুয়ারিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালানাগাদ করতে হলে তার আগেই নিয়োগ দিতে হবে নতুন কমিশন।
মন্তব্য করুন: