editor.timesmail24@gmail.com শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সংস্কার ও বন্যা পুনর্বাসনে সহায়তা করবে জাতিসংঘ

নাঈম মজুমদার

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:৫১

দেশ সংস্কার ও বন্যা পুনর্বাসনে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস।

রোববার(২২ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে ডক্টর ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী জিওন লুইস। এসময় তারা দেশ পুনর্গঠন, দুর্নীতি দমন, বন্যা পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা সংকট ইত্যাদি নানাবিধ বিষয়ে কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গৃহীত সংস্কার উদ্যোগের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী প্রফেসর ইউনূসকে বিপ্লব-পরবর্তী প্রশাসনের প্রধান হিসেবে অসাধারণ ভূমিকা নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলির সংস্কারের কাজ শুরু করবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, এটি সমগ্র জাতির জন্য সর্বাধিক ঐক্যবদ্ধ মুহূর্ত এবং তার সরকারের প্রধান কাজ ছিল প্রত্যেকের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করা। এটি দেশের জন্য অর্থনীতির সংস্কার এবং প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ঠিক করার জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ। গুইন লুইস পুলিশ প্রশাসনসহ নিরাপত্তা বাহিনীতে সংস্কারের বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। 
 
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার পুলিশি সংস্কারকে তার অগ্রাধিকারের শীর্ষে রেখেছে। সরকার একটি সমন্বিত জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা গড়ে তুলতেও প্রতিশ্রুতি বদ্ধ, যা দেশের ঝামেলা কমিয়ে দেবে এবং দুর্নীতি কমবে। সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার করতে একটি কমিশনও গঠন করেছে, যাতে ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হয়।

লুইস বলেন, জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্ত দল ইতোমধ্যে জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার তদন্ত শুরু করেছে। জাতিসংঘের সংস্থা, ডব্লিউএইচও এবং আইএলও আহতদের এবং ঘটনায় মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করার উপায় খুঁজছে। দেশের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য জাতিসংঘ ইতোমধ্যেই ৪ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে।

লুইস আরও বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ বন্যার শিকার হয়েছে এবং জাতিসংঘ সংস্থা ও দাতব্য সংস্থাগুলোর সহায়তা সমন্বয় করছে।

এ সময় ড. ইউনূস দক্ষিণ এশিয়ায় বন্যার জন্য একটি পূর্বাভাস ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘের সহায়তা চান।

তারা পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন, যেখানে লুইস তিনটি পার্বত্য জেলায় জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর করা সহায়তামূলক কাজের কথা তুলে ধরেন।

এমএএন

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর