সরকার পতনের একদফা আন্দোলন এবং শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বিভিন্ন থানায় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে থানাসহ বিভিন্ন ইউনিট এবং ডিউটিস্থল থেকে অস্ত্র লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব অস্ত্র উদ্ধারে আগামীকাল থেকে যৌথ অভিযানে মাঠে নামবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার মধ্যে অবৈধ এবং ২০০৯ সাল থেকে লাইসেন্স পাওয়া বৈধ সব অস্ত্র থানায় জমা দিতে হবে। এরপর আগামীকাল বুধবার থেকে যৌথ অভিযানে মাঠে নামবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
লুট হওয়া অস্ত্রসহ সব অবৈধ অস্ত্রের খোঁজে এবার মাঠে প্রশাসন। ২০০৯ সাল থেকে লাইসেন্স পাওয়া সব বৈধ অস্ত্রও জমা দিতে হবে থানায়। পুলিশের বিশেষ শাখার তথ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি।
প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন অপরাধ বিশ্লেষকেরা। মানুষের আস্থা ফেরাতে এ অভিযানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের তাগিদ তাদের।
পুলিশ সদর দফতর জানায়, গত ৬ আগস্ট থেকে সোমবার পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৪ হাজার অস্ত্র ও ৩ লাখ গোলাবারুদ। এছাড়া ২৩ হাজার রাউন্ড টিয়ার শেল এবং ২ হাজার ১৩৯টি সাউন্ড গ্রেনেডও উদ্ধার হয়।
তবে নিরাপরাধ কেউ যেনো হয়রানির মুখে না পড়ে, সেদিকে লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তারা। আর অভিযানের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের তাগিদ অপরাধ বিশ্লেষকের।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল-আজাদ চৌধুরি বলেন, ডিপার্টমেন্টের হারানো ভাবমূর্তি উদ্ধারে এবার সবাই তৎপর। সবাই আন্তরিক। এবারের যৌথ অভিযান আশা করছি যথাযথ হবে।
এমএএন
মন্তব্য করুন: