উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল, ভারত থেকে আসা পানির ঢল ও অতি বৃষ্টির কারণে দেশের ১২টি জেলা বন্যাকবলিত। এসব জেলাগুলোতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৫ লাখ। এ মুহূর্তে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯টি পরিবার পানিবন্দী।
এ বন্যায় ভারী বৃষ্টিপাত ও প্রবল স্রোতের কারণে বন্যার পানিতে ডুবে, পাহাড় ধসে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গত সোমবার (১৯ আগস্ট) থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছেন। নিখোঁজ আরও দুজন।
গত বুধবার (২১ আগস্ট) হতে ফেনীসহ আট জেলায় হঠাৎ ভারত থেকে আসা পানির ঢল ও অতি বৃষ্টির কারণে বন্যা দেখা দেয়। তবে তার কয়েকদিন আগে থেকেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে অনেক জেলায়। এরপর বাঁধ ভেঙে ও বাঁধ উপচে বৃহস্পতিবার আরও চার জেলার অনেক জায়গা তলিয়ে যায়।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুর ১২টার পর সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান।
তিনি জানান, বন্যাকবলিত জেলাগুলো হলো- ফেনী, কুমিল্লা, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার। এর মধ্যে ফেনীর অবস্থা ভয়াবহ।
বন্যায় এখন পর্যন্ত কুমিল্লায় চারজন, কক্সবাজারে তিনজন, চট্টগ্রামে দুজন, ফেনীতে একজন, নোয়াখালীতে একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন মারা গেছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসের তথ্য উল্লেখ করে কামরুল হাসান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি ধীরগতিতে উন্নতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫২ লাখ নগদ টাকা, ২০ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন চাল, ১৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানা, বন্যাকবলিত এলাকায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশের সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।
এনএম
মন্তব্য করুন: