দেশে চলমান কোটা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলাকালে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনে দুর্বৃত্তরা হামলা করে আগুন লাগানোসহ ভাঙচুর করে। এতে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনটির একাধিক গাড়ি, ক্যান্টিনসহ বিভিন্ন অংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ টেলিভিশনে হামলা ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে, জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক (ডিজি) ড. জাহাঙ্গীর আলম।
ওইদিন বিকেল পৌনে ৩টায় আগুনের সূত্রপাত হলেও রাত ৯টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ফলে ৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আগুনে পুড়ে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয় টেলিভিশন ভবন। যেদিকেই চোখ যায়, সেদিকেই শুধু তাণ্ডবের ক্ষতচিহ্ন।
প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক (ডিজি) ড. জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি। তবে আমরা ধারণা করছি কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। দুর্বৃত্তরা বিটিভির কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে, ক্যামেরাসহ অনেক কিছুই পুড়িয়ে দিয়েছে। অনেক যন্ত্রপাতি লুটপাটও করেছে। নির্দিষ্ট করে ক্ষতির পরিমাণ বের করতে হলে আমাকে তালিকা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ১৭টি গাড়ি পুড়িয়েছে, ৯টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে, দুটি সম্প্রচার ভ্যান পুড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও আগুনে বিল্ডিংয়ের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সবমিলিয়ে ভয়াবহ একটা হামলা ও অগ্নিকাণ্ড বিটিভিতে হয়েছে, যেই পরিস্থিতি আমাদের পক্ষে তুলে ধরাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা সম্প্রচার কার্যক্রম আবারও শুরু করেছি। আগুনের পরদিনই আমরা সম্প্রচার পুনরুদ্ধার করেছি।
দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের তদন্ত কমিটিকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন চত্বর ঘুরে দেখা গেছে, টেলিভিশনের ভেতরে-বাইরে সর্বত্র সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর শতাধিক সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে বিটিভি ভবনের গেটের সামনে কাউকে অবস্থান বা চলাফেরা করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
এনএম
মন্তব্য করুন: