editor.timesmail24@gmail.com রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ছাগলকাণ্ডে মতিউরকে ওএসডি, তার স্থলে সোনালী ব্যাংকে নতুন পরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২৪, ২১:২৯

ফাইল ছবি

ভাইরাল ছাগলকাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে ওএসডি করা হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। ওই অফিস আদেশে বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডারের কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মকিমা বেগমের স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, জনস্বার্থে এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হয়।

গতকাল মতিউর রহমানকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার একদিন পরেই আজ তারস্থলে নতুন পরিচালক নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবু ইউসুফকে তিন বছরের জন্য সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এক চিঠিতে নতুন পরিচালক নিয়োগের এ আদেশে দেওয়া হয়েছে।

সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবু ইউসুফকে যোগ দেওয়ার তারিখ থেকে তিন বছর মেয়াদে সোনালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিতে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১–এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, সোনালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদে মোহাম্মদ আবু ইউসুফের পরিচালক হিসেবে যোগদানের তারিখ আবশ্যিকভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানানোর অনুরোধ করা হলো।

সরকারি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডারের কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে তার বর্তমান পদ থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে কেন এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, প্রজ্ঞাপনে তা উল্লেখ করা হয়নি। বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে, ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া কোরবানি উপলক্ষে ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কিনে আলোচনার জন্ম দেন মুসফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণ। পরে জানা যায়, ইফাত এনবিআরের কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালে কর্মরত মতিউর রহমানের ছেলে। এরপরই একজন সরকারি কর্মকর্তার ছেলের বিপুল পরিমাণ টাকায় গরু-ছাগল কেনা নিয়ে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে মতিউর রহমান দাবি করেন, ইফাত তার ছেলে নন। এমনকি এই তরুণ তার পরিচিতও নয়। এই ঘটনার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে মতিউর রহমানের বিপুল সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসে।

এনএম

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর