সিলেটে চলমান বন্যায় বাড়ছে নদ-নদীর পানি, যার ফলে বন্যার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে সিলেট অঞ্চলের ৪টি নদীর পানি ৬ পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সুরমা নদী কানাইঘাটে পানি বিপদসীমার ১৩৩ সে. মিটার, সিলেট পয়েন্টে ২২ সে. মিটার কুশিয়ারা ফেঞ্চুগঞ্জে ৭৯ সে, মিটার, সারি নদী ৩৫ সে.মিটার, সারিগোয়াইন পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
আবহাওয়া অফিস জানায়, সিলেটে ২৪ ঘন্টায় ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। আগামী দুইদিন সিলেটে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার ৬টা পর্যন্ত ৩৯৫ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে দ্রুত বাড়ছে সিলেটের নদ-নদীর পানি।
সিলেট জেলা প্রশাসন জনায়, মোট ৫৩৮টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ৫টি উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৪৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
গত রবিবার (১৬ জুন) রাত পর্যন্ত জেলা প্রশাসন সিলেট জেলায় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ পানিবন্দী থাকার তথ্য জানায়। আজ সকাল পর্যন্ত দুই লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত। বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঈদের দিন কোরবানির পশুর মাংস, শুকনো খাবার, সেলাইন ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়।
সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহর, যতরপুর, মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, রায়নগর, সোবহানীঘাট, কালিঘাট, কামালগড়, মাছিমপুর, তালতলা, জামতলা, কাজিরবাজার, মাদিনা মার্কেট, আখালিয়া ও মেজরটিলাসহ মহানগরের অধিকাংশ এলাকা বন্যা কবলিত।
এসাথে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জসহ কয়েকটি উপজেলার গ্রামীণ অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক কৃষিজমির ফসল তলিয়ে গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।
এনএম
মন্তব্য করুন: