গত ৫ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা সংসদ সদস্যদের পেছনে ফেলেছেন। উপজেলায় এ সময়ে তিনগুণের বেশি কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে।
টিআইবির বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের মধ্যাঞ্চল কুমিল্লা, ফেনী ও খুলনা অঞ্চলে প্রার্থীদের গড় আয় ও অস্থাবর সম্পদ বেশি। বরিশাল, খুলনা ও কুমিল্লা অঞ্চলে প্রার্থীদের গড় অস্থাবর সম্পদ ৫ বছরে বেড়েছে।
রোববার (৯ জুন) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও নতুন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে। টিআইবি হলফনামা বিশ্লেষণ ও চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে হলফনামা বিশ্লেষণের ফলাফল কেওয়াইসি (আপনার প্রার্থীকে জানুন) ড্যাশবোর্ড উন্মুক্ত করা হয়। হলফনামার বিস্তারিত তুলে ধরেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশনের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
টিআইবি বলছে, প্রার্থীদের হলফনামার সঙ্গে আয়কর রিটার্নের সম্পদের হিসেবেও অসামঞ্জস্য রয়েছে। এছাড়া সম্পদ বৃদ্ধিতে দেশের মধ্যাঞ্চলের প্রার্থীরা এগিয়ে।
এবারের উপজেলা নির্বাচনে ১ হাজার ৮৬৪ জন চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, ২ হাজার ৯৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ১ হাজার ৫১৩ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর হলফনামা বিশ্লেষণ করেছে বলে জানিয়েছে টিআইবি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জনপ্রতিনিধিত্ব জনস্বার্থকে কেন্দ্র করে যে হওয়ার কথা সেটি আসলে বাস্তবে নেই। এখন ক্ষমতাকেন্দ্রিক জনপ্রতিনিধিত্ব। ক্ষমতায় থাকতে পারলে সম্পদ বিকাশের অবাধ সুযোগ পান।
মন্তব্য করুন: