যে সকল কর্মী নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়া যেতে পারেনি তাদের তথ্য চেয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এক গণবিজ্ঞপ্তিত প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের নিয়োগানুমতি ও জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) স্মার্ট কার্ড পাওয়ার পরও অনেক রিক্রুইটিং এজেন্সি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (৩১মে) মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছে। এর কারণ অনুসন্ধানে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাহবুবের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
যে সকল কর্মী নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়া যেতে পারেনি আগামী ৮ জুনের মধ্যে ঐ সকল ব্যক্তির প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ই-মেইলের (enquiry.committee.malaysia@gmai.com) মাধ্যমে অভিযোগ দাখিল করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, গত শুক্রবার (৩১ মে) পর্যন্ত দেশটিতে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ জন বাংলাদেশি কর্মীকে পাঠানোর অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) ছাড়পত্র দেয় প্রায় ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪২ জনকে। অজ্ঞাত কারণে বাদ দেয়া হয় ৩২ হাজার কর্মীকে।
কথা ছিল, জনপ্রতি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা করে দেবেন কর্মীরা। এ খরচের ভেতর আছে: পাসপোর্ট খরচ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, নিবন্ধন ফি, কল্যাণ ফি, বিমাকরণ, স্মার্ট কার্ড ফি ও সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ। আর ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার উড়োজাহাজ ভাড়াসহ ১৫টি খাতের খরচ বহন করবে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।
এ অবস্থায় তালিকাভুক্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪২ জনের কাছ থেকে সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়ার আমিন নুর ও দেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো হাতিয়ে নেয় নির্ধারিত ফি বাদে গড়ে পৌনে ৫ লাখ টাকা করে, যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা।
এসআর
মন্তব্য করুন: