সম্প্রতি শ্রমিক হিসেবে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি মামলা করলে সিআইডি ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া। তিনি বলেন, “শুধু মানবপাচার আইনে মামলা নয়, বিদেশ পাঠানোর নামে যারা অবৈধভাবে টাকা আয় করে বিভিন্ন জায়গায় হস্তান্তর করেছে তাদেরকে আমরা মানি লন্ডারিংয়ের আওতায়ও আনব।”
রবিবার মালিবাগ সিআইডি হেডকোয়ার্টারে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিআইডি প্রধান। তিনি বলেন, “অবৈধভাবে যারা মানবপাচার করে ভুয়া টিকিট বা ভুয়া ভিসা ইত্যাদি দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, অর্থ নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা একদিকে মানবপাচারের মানি লন্ডারিং মামলা এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা মাদক নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। ইতিপূর্বে মাদকের ইউজার (ব্যবহারকারী) এবং খুচরা বিক্রেতাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। আমরা স্পেশাল ডাইমেনশন আকারে গডফাদারদের এবং তাদের যত অবৈধ প্রোপার্টি আছে সেগুলোকে আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। কোনোটা ফ্রিজ করেছি আবার কোনোটা সিজ করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “সিআইডির একটি মানবপাচার সেল আছে। এই সেলটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে এবং আমাদের একটি ব্রাঞ্চ আছে এয়ারপোর্টে। যারা রিফ্রেক্টেড হয়, বিভিন্নভাবে প্রতারণার শিকার হয়ে বিদেশ থেকে রিফ্রেক্টেড হয়, আমাদের রিপোর্ট করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাদের সব ডাটা সংগ্রহ করি। মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কিন্তু আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি ও আসামি গ্রেপ্তার করি।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে কি না এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা আমরা শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। দু-এক মাসের মধ্যে এর তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এসআর
মন্তব্য করুন: