বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সমুদ্র উত্তাল থাকায়, দেশের সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করতে সচেতনতামূলক মাইকিং করছেন কোস্ট গার্ড সদস্যরা।
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ক্রমান্বয়ে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। এরূপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণ, মৎস্যজীবী ও নৌযান সমূহকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড উপকূলীয় অঞ্চলে জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পটুয়াখালী জেলার বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের স্টেশন এবং আউটপোস্টসমূহ মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছে। ঘূর্ণিঝড়ের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষার জন্য নিকটবর্তী সাইক্লোন শেল্টার স্টেশনে আশ্রয় গ্রহণের প্রস্তুতির জন্য সকলকে সচেতন করা হচ্ছে।
কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের বিসিজি স্টেশন নিজামপুর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আবু রাশেদ সুমন বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের সমুদ্র এলাকা ঝুঁকিতে রয়েছে। পরবর্তীতে সংকেত বেড়ে এটি ঘূর্ণিঝড় রিমালে রূপ নিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এতে সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিতে সচেতনতামূলক মাইকিং শুরু করা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন হল রুমে বেলা ১১টায় উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, সিপিপির উপ-পরিচালক আছাদ উজ জামান, দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরসহ জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় দুর্যোগকালীন সময় ১৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র, ২০টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুতের পাশাপাশি শিশু খাদ্য ও শুকনা খাবার মজুদ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। উপজেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, দুর্যোগে করণীয় সম্পর্কে স্থানীয়দের সচেতন করতে ইতোমধ্যেই ৩১৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: