আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ায় বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে পোশাকখাতে বিরাজমান শ্রম পরিস্থিতি বিষয়ে জরুরি এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি। ওই মিটিংয়ে এনএসআই, শিল্প পুলিশ, বাংলাদেশ আর্মির পক্ষ থেকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শ্রমিক আন্দোলনে ১৬৭ টি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। যদিও এ আন্দোলনে শ্রমিকদের সংশ্লিষ্টতা ছিল না। বহিরাগতদের হামলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। তাই সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারখানা এলাকায় নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে ফের গার্মেন্টস চালু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিকরা।
এদিকে সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকদের টানা কয়েক দিনের আন্দোলনের মুখে অন্তত ৭০টি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন।
বুধবার সকাল থেকেই সাভারের আশুলিয়ার জিরাবো, ঘোষবাগ, সরকার মার্কেট, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর ও পল্লিবিদ্যুৎ এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে পোশাক কারখানাগুলোতে সাধারণ ছুটি দেওয়া হয়।
এমন পরিস্থিতিতে আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে বৈঠকের পর শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে তৈরি পোশাকশিল্পসহ অন্যান্য খাতের শ্রমিকদের আন্দোলনের পেছনে আওয়ামী লীগের লোকজনসহ বহিরাগতরা রয়েছে। তিনি বলেন, শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা বন্ধে আজ থেকে অ্যাকশন শুরু হবে।
দেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে ঘিরে চলমান অসন্তোষ দমনে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। খুব দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এমএএন
মন্তব্য করুন: