দুই সমন্বয়কের সাথে নুরের সরকার পতনের আলোচনা, রিমান্ড শেষে কারাগারে

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে সেতু ভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ৫ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (২৬ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মদ এর আদালতে শুনানী শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রিমান্ড প্রতিবেদন সুত্রে জানা যায়, ভিপি নুর 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন'-এর অন্যতম দুই সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এবং সারজিস আলমের সঙ্গে গত ১৮ জুলাই রাত ১০টার সময় মোবাইল ফোনে এবং ম্যাসেজে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারসহ সরকার পতনের জন্য তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বনানী থানায় করা মামলায় রিমান্ড প্রতিবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া এ তথ্য জানান।

আবেদনে আরও বলা হয়, ভিপি নুর আন্দোলনের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও আসিফ মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি তাদের আট দফা কর্মসূচি লিখে দেন। এ আন্দোলনকে ঘিরে পরবর্তী ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাই তাকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন মনে করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহম্মদ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। উল্লেখ্য গত ২১ জুলাই নুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত।

জিজ্ঞাসাবাদকালে আসামি জানান, গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে কোটা সংক্রান্তে আদালতের রায়ের পর থেকেই তিনি তার ঘনিষ্ঠ নাহিদ ইসলাম, নাসানাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, আসিব মাহমুদ, আক্তার হোসেন এবং আহনাফদের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। পরে ১৮ জুলাই রাত ১০টায় নাহিদ ইসলাম এবং সারজিস আলমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে এবং ম্যাসেজে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার এবং বর্তমান সরকারকে উৎখাত বা পতন করার জন্য তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। তখন নাহিদ ইসলাম ও সারজিস আলম দাবি-দাওয়াগুলো ম্যাসেজ করে লিখে দিতে বললে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, ইন্টারনেট সচল করা, ছাত্রলীগ/যুবলীগে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা, স্বরাষ্টমন্ত্রীর পদত্যাগসহ সরকারের পদত্যাগ ইত্যাদি দাবি-দাওয়া লিখে দেন ভিপি নুর।

১৯ জুলাই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য সে তাদের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান এবং বর্তমান সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে অন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।