গত ২৮ মে সকালে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান অর্থ পাচার মামলায় ভারতে বন্দি বাংলাদেশি নাগরিক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার। মায়ের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে পিকে হালদারের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। তবে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেননি।
সোমবার (৩ জুন) গরমের চুটি শেষে আদালত খুলতেই পিকের জামিনের আবেদন করা হয়। জামিন শুনানীতে আইনজীবী বলেছেন, হিন্দুরীতি অনুযায়ী শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে কাজ থাকে। ফলে পিকে হালদারকে ১৫ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হোক।
আদালতে জামিন শুনানীতে বিরোধিতা করে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা- ইডি’র আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী যুক্তি দেন, এ ধরনের অভিযুক্তদের ৪ দিনের বেশি অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া ঠিক নয়।
দুই পক্ষের আবেদন শোনার পর বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
জানা যায়, লীলাবতী হালদারও বাংলাদেশের আদালতে অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন। নানা শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গত ৭ আগস্ট থেকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি ।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বৈদিক ভিলেজ থেকে পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরপর থেকে বন্দি রয়েছেন হালদার। ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২’ অর্থাৎ অবৈধভাবে অর্থপাচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আওতায় পিকে হালদার ও তার ৫ সহযোগীকে গ্রেপ্তার দেখায় ইডি।
এনএম
মন্তব্য করুন: