পেয়ারায় রয়েছে একাধিক ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই নিয়মিত এ ফল খেলে ডায়াবেটিসকে বশে রাখা যায়।
অত্যন্ত উপকারী একটি ফল পেয়ারা। এটি ডায়াবেটিসের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে একাধিক ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই নিয়মিত এ ফল খেলে ডায়াবেটিসকে বশে রাখা যায়। সেই সঙ্গে এড়িয়ে চলা যায় হার্টের অসুখ। কারণ প্রতিদিন পেয়ারা খেলে আপনার হার্ট ভালো থাকবে।
একাধিক চকচকে ফলের ভিড়ে আজকাল প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে এ ফল। আর এই চিত্র দেখেই চিন্তায় পড়ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের কথায়— যে কোনো ফলের সঙ্গে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিতে পারে পেয়ারা। এমনকি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও হার্টের অসুখ প্রতিরোধের কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পেয়ারা। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত পেয়ারা খান। খাদ্যতালিকায় জায়গা দিন। তাতেই শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে।
হাই ব্লাড সুগার একটি জটিল অসুখ। এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে না রাখলেই মুশকিল। সে ক্ষেত্রে পিছু নিতে পারে একাধিক জটিল অসুখ। তাই যেভাবেই হোক ডায়াবেটিস ও হার্ট নিয়ন্ত্রণে খাদ্যতালিকায় পেয়ারা রাখুন। প্রতিদিন পেয়ারা খান। নিজেকে সুস্থ রাখুন।
পেয়ারায় গ্লাইসেমিক ভ্যালু খুব কম। এমনকি এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবারও রয়েছে। যে কারণে পেয়ারা খেলে কমে সুগার। তবে উপকার পেতে চাইলে পাকা পেয়ারা খাওয়া চলবে না। তাতে সুগার বাড়বে। তার বদলে কাঁচা পেয়ারার ওপর আস্থা রাখুন। এ কাজ করলেই ডায়াবেটিস থাকবে কন্ট্রোলে।
আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো হার্ট। তাই চেষ্টা করুন এই অঙ্গের যত্ন নেওয়ার। পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কিনা ফ্রি রেডিকেলস দূর করার কাজে সিদ্ধহস্ত, যার ফলে সুস্থ থাকে হার্ট।
শুধু তাই নয়, পেয়ারায় মজুত পটাশিয়াম ও সলিউবল ফাইবারের গুণেও ফেরে হৃৎপিণ্ডের হাল। নিয়মিত পেয়ারা খেলে এলডিএল কোলেস্টেরল কমে যায়। সেই সুবাদেও হৃদরোগ দূরে থাকে।
এমএএন
মন্তব্য করুন: