ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শেষ হলেও এখন এই এসটিএসএস রোগের প্রকোপ শুরু হয়েছে জাপানে। এ বছর গত ২ জুন পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৯৭৭ জাপানি। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৯৪১। এবার প্রথম ৫ মাসেই এই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল।
জাপানের সংক্রামক রোগ বিষয়ক ইনস্টিটিউট বলছে, ১৯৯৯ সাল থেকে এই রোগ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আক্রান্ত হলে গলা ফুলে যায় এবং ব্যথা করে। এ ছাড়া কোনো অঙ্গ ফুলে যাওয়া, জ্বর, রক্তচাপ কমে যাওয়া এর লক্ষণ। আর এতে করে টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে। শ্বাসপ্রশ্বাসের সংকটসহ অঙ্গ বিকল থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা এই এসটিএসএস রোগে আক্রান্তের ঝুঁকিতে রয়েছেন। টোকিও ওমেনস মেডিকেল ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিষয়ক অধ্যাপক কেন কিকুচি বলেন, মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বেশিরভাগ রোগী মারা যায়। সকালে পায়ের পাতা আক্রান্ত হলে দুপুরেই হাঁটুতে চলে আসে। এভাবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রোগী মারা যেতে পারে।
জাপানে এ বছর এই রোগে আক্রান্ত আড়াই হাজার ছাড়াতে পারে। এদের প্রায় ৩০ শতাংশ মারা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে জাপানের সংক্রামক রোগ বিষয়ক ইনস্টিটিউট। ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও এই রোগ শনাক্ত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন: