editor.timesmail24@gmail.com শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আজ খুলছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৯

সংগৃহীত ছবি

প্রায় তিন মাস পর আজ (৬ অক্টোবর) সশরীরে ক্লাস শুরু হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে আসন বরাদ্দের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গত শুক্রবার তা সম্পূর্ণ হয়েছে। এরপরই আসল বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত।

এই ব্যাপারে উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. শামীম উদ্দিন খান বলেন, গত কয়েক মাসে শিক্ষকদের আন্দোলন এবং গণবিপ্লবের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ে যাচ্ছে, তাই আমরা দ্রুত সময়ে ক্লাস–পরীক্ষা চালুর জন্য মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ দিয়েছি। এতে শিক্ষার্থীরা সশরীরে ক্লাসে উপস্থিত হয়ে একাডেমি যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারবে।

ক্লাস চালু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ উদ্দিন বলেন, আমরা প্রায় তিন মাস পর ক্লাস রুমে ফিরতে পারছি– এটা অনেক আনন্দের বিষয়। কিন্তু নতুন প্রশাসনের নিকট আবেদন থাকবে, এই আন্দোলন–সংগ্রামে আমাদের একাডেমিক যে ক্ষতি হয়েছে তা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

বৈষম্যেবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল বলেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে। যাদের রক্তের বিনিময়ে মুক্ত ক্যাম্পাস ও স্বৈরাচারমুক্ত দেশ পেয়েছি, তাদেরকে স্মরণ করার মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয় মুখরিত হোক– সেটাই চাওয়া আমাদের। সবাই লাল ব্যাজ পড়ে আসবো। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে সকাল সাড়ে ৯টায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমবেত হয়ে নিজ নিজ ধর্ম অনুসারে প্রার্থনা করব ইনশাআল্লাহ।

জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে গত ১ জুলাই থেকে। ওইদিন থেকেই পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছিলেন শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। পরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সরকার পতনের পর গত ৭ আগস্ট এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এ সভায় ১৮ আগস্ট আবাসিক হল খোলা ও ১৯ আগস্ট ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। পরে দাবির মুখে দায়িত্ব ছাড়েন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের, উপ–উপাচার্য বেনু কুমার দে ও মো. সেকান্দর চৌধুরীসহ ১৪টি হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্রছাত্রী নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক।

এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ–কর্মও স্থবির হয়ে যায়। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ ইয়াহ্‌ইয়া আখতারকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

এমএএন

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর