খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে পাহাড়িদের ওপর হামলা, হত্যা, বিহার-ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা তিন পার্বত্য জেলায় (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) ৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
সড়ক অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। শহরের ভেতর কিছু হালকা যান চলাচল করলেও যানবাহন চলাচল সীমিত রয়েছে।
গতকাল ঢাকার একটি সমাবেশ থেকে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অবরোধ পালনের ঘোষণা দিয়েছে আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরে চুরির অভিযোগে মো. মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি সদরে অপ্রীতিকর ঘটনায় ৩ জন নিহত ও আরো কয়েকজন আহত হন। দীঘিনালায় পুড়িয়ে দেওয়া হয় শতাধিক দোকানপাট।
পরিস্থিতি শান্ত রাখতে জেলায় শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
এদিকে রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক ঘটনায় পরিবহন ভাঙচুর ও চালকদের মারপিটের ঘটনায় শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা পরিবহন মালিক সমিতি। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এমএএন
মন্তব্য করুন: