সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে- কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বুধবার (১৮ সেপ্টম্বর ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষের ৩৯তম ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত প্রমাণাদির (ভিডিও ফুটেজ ও ফটোগ্রাফ) ওপর ভিত্তি করে ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের অপরাধ বিবেচনা করে তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কারের শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, ৪৬ তম ব্যাচের মোহাম্মদ রাজন মিয়া (সরকার ও রাজনীতি), ৪৫ তম ব্যাচের রাজু আহাম্মদ (সরকার ও রাজনীতি), ৫০ তম ব্যাচের মো. মাহমুদুল হাসান রায়হান (ইংরেজি), ৪৪ তম ব্যাচের জুবায়ের আহমেদ (ইতিহাস), ৪৯ তম ব্যাচের হামিদুল্লাহ সালমান (ইংরেজি), ৪৯ তম ব্যাচের মো. আতিকুজ্জামান আতিক (ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ), ৪৭ তম ব্যাচের সোহাগ মিয়া (কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং ৪৯ তম ব্যাচের মো. আহসান লাবীব (বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং)।
নিহত শামীম আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার ইয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে৷ তিনি জাবির ইতিহাস বিভাগের ৩৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশেদুল আলম বলেন, আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি সঠিক। দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একইসঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক স্বাধীন সেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
এমএএন
মন্তব্য করুন: