বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে শাস্তি পাওয়ার পর ক্ষমা পাওয়া ৫৭ বাংলাদেশির মধ্যে ১২ জন দেশে ফিরেছেন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে দুটি ভিন্ন ফ্লাইটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবতরণ করেন।
ফেরা ১২ জন হলেন—চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দে (৪০), হাটহাজারী এলাকার জাহাঙ্গীর আলম (৫০), চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার মো. মইনুল ইলাম (২৪), রাউজানের এস্কান্দার হোসেন (৩৭), সীতাকুণ্ড এলাকার মো. রাকিবুল হোসেন বাবু (৩৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আফছারুল আমিন (৪৪), রাউজানের সায়েদুল হক (৪২), নগরীর কোতোয়ালী এলাকার বাসিন্দা জিয়াউল হক জসিম (৩৪), রাউজানের মো. শাহাজাহান (৪১), হাটহাজারীর মো. হারুন (৪৭), হাটহাজারীর মেহেরাজ উদ্দিন রাসেল (২২) ও রাউজানের মো. কাউছার (২৬)।
বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে শাস্তির পর ক্ষমা পাওয়াদের ১২ জন বাংলাদেশি এয়ার আরাবিয়ার দুটি ভিন্ন ফ্লাইটে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এর মধ্যে শারজাহ হতে আসা ফ্লাইটে ১ জন এবং আবুধাবি থেকে আসা ফ্লাইটে ১১ জন বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এর আগে, গত ৩ সেপ্টেম্বর দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, গত ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের। সেখানে বড় অংশজুড়ে ছিল ৫৭ জনের শাস্তি মওকুফের বিষয়টি। প্রধান উপদেষ্টা প্রেসিডেন্টকে প্রবাসী শ্রমিকদের ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট তার কথা রেখেছেন।
দেশে চলা কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল দেশটির আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে ক্ষমা করে দেওয়ায় তাদের সেই শাস্তি পেতে হচ্ছে না।
এমএএন
মন্তব্য করুন: