স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার শিকার কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ। জেলার অন্যান্য উপজেলায় ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চললেও নাঙ্গলকোটের বিভিন্ন গ্রামের পানিবন্দি মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করছেন।
নাঙ্গলকোটের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কিছু এলাকায় পানি কমতে শুরু করলেও অনেক এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের অভিযোগ, এই উপজেলার অবস্থান একটু ভেতরে হওয়ায় এবং বন্যার ভয়াবহতার প্রচার না থাকায় কেউ তাদের উদ্ধার করতে আসছে না, তারা ত্রাণও পাচ্ছেন না। উপজেলার রায়কোট উত্তর ও মৌকরা ইউনিয়নে পানিতে ডুবে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
ফলে কিছু এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, জরুরি ওষুধ ও খাদ্যসংকট রয়েছে। সংকটাপন্ন এলাকাগুলো হলো রায়কোট উত্তর, রায়কোট দক্ষিণ, মৌকারা, ঢালুয়া, বক্স গঞ্জ ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল।
জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৪টি উপজেলাই বানের পানিতে নিমজ্জিত। পানিবন্দি অন্তত ১৫ লাখ মানুষ। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
তাদের অভিযোগ, দোকানপাটেও তেমন খাদ্যসামগ্রী নেই, থাকলেও দাম অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে। ১৪ থেকে ১৫শ’ টাকার গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে তিন থেকে চার হাজার টাকায়। সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
সঠিক প্রচারণা ও যোগাযোগব্যবস্থা খারাপ হওয়ার ফলে নাঙ্গলকোটের দুর্গতরা সার্বিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কিছু এলাকায় এখনো জরুরি ওষুধ, বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যসংকট রয়েছে।
এসব বিষয়ে তদারকিসহ এ উপজেলাকে দ্রুত দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার দাবি জানান তারা।
মন্তব্য করুন: