খুলনায় কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ছাত্র-জনতার গণমিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আন্দোলন-কারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় সংঘর্ষে পুলিশের একজন কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০ জন পুলিশ সদস্য।
নিহত কনস্টেবলের নাম সুমন ঘড়ামি। তিনি পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শুক্রবার (২ আগষ্ট) সন্ধ্যায় নগরীর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গল্লামারী এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে তিনি মারা যান বলে খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক জানান।
কমিশনার বলেন, “সংঘর্ষ চলাকালে আন্দোলনকারীরা কনস্টেবলকে বেধড়ক মারপিট করে। আহত অবস্থায় খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
তিনি আরো জানা, ‘পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। অথচ আমার এক ভাইকে তারা পিটিয়ে মেরে ফেলল।’
সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গল্লামারী কাঁচাবাজারে আন্দোলন-কারীরা পুলিশের কয়েকজন সদস্যকে বেধড়ক পেটান। এ সময় বাজারের একটি দোকানে পুলিশের চার সদস্য আটকা পড়েন। কিছুক্ষণ পর দোকানের শাটার খুলে তাঁরা বাইরের পরিস্থিতি দেখতে বের হলে আন্দোলনকারীরা ইটপাটকেল ছোড়েন। এই সময় পুলিশের ওই সদস্যরা রাবার বুলেট ছোড়েন। এতে উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওই সদস্যদের বেধড়ক পেটানোয় পুলিশ সদস্য সুমন নিহত হন।
এর আগে শুক্রবার বিকালে সোয়া ৩টার দিকে আন্দোলন-কারীদের একটি মিছিল নগরীর গল্লামারী এলাকায় পৌঁছালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলন-কারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের যোগ দিতে দেখা যায়। পরে বিপুল সংখ্যক আন্দোলন-কারী ও শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে এগিয়ে গেলে পুলিশ ধীরে ধীরে পিছু হটে যায়। এরপর শিক্ষার্থীরা জিরোপয়েন্টে অবস্থান নেন। সেখানে বিকাল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ শুরু হয়।
(সবার আগে আলো-আধারের সময়ের খবর সময়ে পেতে ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Threads, Instagram এবং Telegram পেজ)
এনএম
মন্তব্য করুন: