খাগড়াছড়িতে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে গত দুইদিনের ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এতে চেঙ্গী নদীর পাহাড়ী ঢলে প্লাবিত হয়েছে খাগড়াছড়ি সদরের নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার।
আজ শুক্রবার (২ আগষ্ট) ভোর থেকে খাগড়াছড়ি সদরের মুসলিমপাড়া, মেহেদীবাগ, কালাডেবা, গঞ্জপাড়া, ঠাকুরছড়াসহ চেঙ্গী পাড়ের নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে। দুই মাসের ব্যবধানে পরপর তিনবার পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নদী ও ছড়ার পাড়ে বসবাসকারীরা।
আজ সকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক আব্দুর রহিম বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে।” এর মধ্যে শুক্রবার ভোর থেকে নদীর পানি বাড়তে থাকায় সদরের মুসলিমপাড়া, মেহেদীবাগ, কালাডেবা, গঞ্জপাড়া, ঠাকুরছড়াসহ চেঙ্গী পাড়ের নিম্নাঞ্চলের মানুষের বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে।
খাগড়াছড়ির পৌর শহরের কয়েকজন বাসিন্দার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায় তাদের ঘর বাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে নাপ্পি বাজারে এসে বসে আছে। বৃষ্টি না নামলে পানি কমারও সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি বাড়লে দুর্ভোগও আরও বাড়বে।
এদিকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দীঘিনালার মাইনী নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। তলিয়ে গেছে দীঘিনালার মেরুং ও কবাখালীর নদী পাড়ের কৃষি জমিও। এছাড়া ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের শঙ্কায় রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার।
জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, প্রবল বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্গত মানুষদের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে ১০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান তিনি।
(সবার আগে আলো-আধারের সময়ের খবর সময়ে পেতে ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Threads, Instagram এবং Telegram পেজ)
এনএম
মন্তব্য করুন: