ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সুন্দরবন উপকূলসহ মোংলায় ১০ নম্বর বিপৎসংকেত বহাল রয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চল এরইমধ্যে বৃষ্টিসহ দমকা বাতাস বইতে শুরু করেছে । জলোচ্ছ্বাসে পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে পুরো সুন্দরবন।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র ও পর্যটন কেন্দ্রের আজাদ কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে চার ফুট পানি বেড়ে সুন্দরবন তলিয়ে গেছে। পানির চাপ আরও বাড়বে। তবে বন্যপ্রাণীর কোনো ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।
আজাদ কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পুরো সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা ও বনরক্ষকীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বনবিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাম্পগুলোতে থাকা বনরক্ষকীদের এরইমধ্যে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এরইমধ্যে মোংলা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান পৌরমেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, ঝুঁকি এড়াতে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে জরুরি কাজ ও রোগীদের কথা চিন্তা করে মোংলা নদীতে ফেরি চালু রাখা হয়েছে। পৌর শহরের আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজনকে আনার জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হারুন-অর-রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি আজ সন্ধ্যা নাগাদ সুন্দরবন ও মোংলা উপকূল অতিক্রম করে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় আছড়ে পড়বে।
এসআর
মন্তব্য করুন: