গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৈতৃক ওয়ারিশ সুত্রে পাওয়া জমির তিন টন ধান ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে ৯৬ হাজার টাকা পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৮ মে) টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পুবের বিলের জমিতে দ্বিতীয় দফায় উৎপাদিত এ ধান খাদ্য গুদামে বিক্রি করা হয়। এর আগে গতবছর বোরো মৌসুমেও খাদ্য গুদামে প্রথমবার পৈতৃক জমির ধান বিক্রি করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিক্রয় চালানে প্রধানমন্ত্রীর ঠিকানা হিসেবে ধানমন্ডির সুধা সদন উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোটার হওয়ার সময় স্বামীর (মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়া) বাড়ির ঠিকানা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ধান বিক্রয়ের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস।
তিনি জানান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা হতে মোট ৯২৩ টন ধান কিনবে সরকার। তাই প্রাথমিকভাবে ৩০৮ কৃষককে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে। তার মধ্যে নির্বাচিত কৃষক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের নামে তিন টন বোরো ধান বিক্রি করেছেন।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার পুবের বিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৈতৃক জমি অনাবাদি হিসেবে পড়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। তাই প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে গত মৌসুম থেকে সমবায়ভিত্তিতে বোরো আবাদ শুরু হয় ওই জমিতে। সেখানের চাষ দেখে প্রতিবেশীরাও পুবের বিলের অনাবাদি জমিতে চাষাবাদে আগ্রহী হন। গত মৌসুমে পৈতৃক ১৭ বিঘা জমি থেকে ১৫০ মণ ধান পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, এবার দ্বিতীয়বারের মতো ওই জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। সেখান থেকে তিন টন ধান খাদ্য গুদামে বিক্রি করা হয়।
গত ২০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার নির্ধারিত ন্যায্যমূল্যে কৃষকের ধান সংগ্রহ শুরু হয় উপজেলায়। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কেজিপ্রতি ৩২ টাকা ও প্রতি মণ ১২৮০ টাকা দরে ধান কিনবে খাদ্য গুদাম।
এনএম
মন্তব্য করুন: